নীতিমালা

কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা,১৯৯৭

প্রকাশ: 12 May, 1997 প্রকাশক: গেজেট নং: নং ভূঃমঃ/শা-৮/খাজব/৪৬/৮৪/২৬১- দেখা হয়েছে: 18 বার মন্তব্য: 0
Cover image for কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা,১৯৯৭

বিস্তারিত / তফসিল

১.১ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনাধীন কৃষি ও অকৃষি এই দুই প্রকারের সরকারী খাসজমি আছে। অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত সংক্রান্ত একটি নীতিমালা বিগত ৮ই মার্চ ১৯৯৫ তারিখে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেট এর মাধ্যমে জারী করা হয়েছে। বর্তমানে এই নীতিমালা অনুযায়ী অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা হইতেছে। অপরদিকে দেশের প্রতিটি জেলারই কম বেশী কৃষি খাস জমি রহিয়াছে। ১৯৭২ সাল হইতেই সরকারের ভূমি সংস্কার কর্মসূচী অনুযায়ী কৃষি খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করা হইয়া আসিতেছে। ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বিতরণের বিষয়ে সর্বশেষ ১৯৮৭ সালের ০১লা জুলাই তারিখে একটি নীতিমালা জারী করা হইয়াছিল। এই নীতিমালার আওতায় ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বিতরণের কার্যক্রম বহু পূর্বেই সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু ইহা একটি ব্যাপক ও জটিল কার্যক্রম বিধায় সরকার ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টন কর্মসূচী অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে উহার সময়সীমা বৃদ্ধি করেন। 

১.২ এইদিকে খাসজমি বন্টনের ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও অনিয়ম সংগঠিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়াছে। তাহাছাড়া বিভিন্ন সময়ে কৃষি খাসজমি বন্টনের ফলে সর্বত্র ঐ বন্দোবস্তযোগ্য জমির পরিমাণ কমিয়া গিয়াছে। অপরদিকে জনসংখ্যা ক্রমবৃদ্ধির ফলে ভূমিহীনদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছে। ফলে বন্দোবস্ত পাওয়ার যোগ্য ভূমিহীনদের সংখ্যার তুলনায় বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাসজমির অপ্রতুলতা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। ইহার ফলে কৃষি খাসজমি বন্টনের ক্ষেত্রে নানা প্রকার জটিলতার উদ্ভব, হইতেছে বলিয়া সারাদেশ হইতে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া যায়। তাই প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাসজমি সুষম ভাবে বন্টনের লক্ষ্যে এবং অধিক সংখ্যক ব্যক্তি/পরিবারকে জমি প্রদানের লক্ষ্যে একটি সুষ্ঠু ও গণমুখী নীতিমালা প্রনয়নের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। সেই কারনে বর্তমান সরকার বিগত ১৩-৮-১৯৯৬ তারিখে জারীকৃত এবং আদেশের মাধ্যমে ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টন স্থগিত রাখেন।

১.৩ সময়ের বিবর্তনে এবং জনসাধারণের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টনের একটি সুষ্ঠু ও গণমুখী নীতিমালা প্রনয়ন করা প্রয়োজন। এই নীতিমালার আওতায় রাংগামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি এই তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত বাকী ৬১ টি জেলায় বন্দোবস্তযোগ্য সকল কৃষি খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বন্টন করিতে হইবে।

২.০     (ক) এই নীতিমালা জারীর তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।

          (খ) এই নীতিমালা জারীর পর হইতে ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টন সংক্রান্ত ইতোঃপূর্বে জারীকৃত সকল আদেশ, পরিপত্র, সমারক, নীতিমালার কার্যকারিতা বাতিল হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।               
          (গ) `[এই নীতিমালা জারীর পূর্বে প্রচলিত নিয়মনীতি মোতাবেক খাসকৃষি জমির যে সকল বন্দোবস্ত দেওয়া হইয়াছে,
এই সকল বন্দোবস্ত বহাল থাকিবে। তাহাছাড়া পূর্বের নীতিমালার আওতায় যে সকল বন্দোবস্ত কেস জেলা প্রশাসক কর্তৃক ১৩-৮-৯৬ ইং তারিখের পূর্বে চুড়ান্ত ভাবে অনুমোদিত হইয়াছে কিন্তু কবুলিয়ত রেজিষ্ট্রি করা হয় নাই, সেই সকল কেসও বহাল থাকিবে এবং কবুলিয়ত সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করিয়া দিতে হইবে। এমন কেস সমূহ বর্তমান নীতিমালা ও উহার সংশোধনী মোতাবেক নিষ্পত্তি করিতে হইবে। তবে ১৯৭২ ইং সালের পর বিধি বহির্ভূতভাবে যদি কোন কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হইয়া থাকে, সেই বন্দোবস্ত কেস সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও উহার প্রমাণাদির ভিত্তিতে থানা কমিটি, জেলা কমিটির নিকট বাতিলের জন্য সুপারিশ করিতে পারিবে এবং জেলা কমিটি উক্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। ]

৩.০ ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টন কার্যক্রম সম্পর্কে নীতিনির্ধারনী কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সময়ে সময়ে তদারকীর জন্য একটি জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটি, জেলা পর্যায়ে একটি জেলা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি এবং উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য থানা পর্যায়ে থানা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি গঠন করা হইল। এই সকল কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি/দায়িত্ব নিমণরূপঃ-

`[ (ক) জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির গঠনঃ-

(১)                              মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রণালয়                                                                                               সভাপতি              

(২-৭)                               ৬ বিভাগ হইতে ৬ জন সংসদ সদস্য                                                                         সদস্য
                                       (মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহিত আলোচনাক্রমে
                                       মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত)

(০৮)                                      সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়                                                                                        সদস্য

(০৯)                                     সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়                                                                                          সদস্য

(১০)                                     সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়                                                                             সদস্য           

(১১)                                      সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়                                                                                         সদস্য

(১২)                                     সচিব, আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়                                                           সদস্য

(১৩)                                      চেয়ারম্যান, ভূমি আপীল বোর্ড                                                                              সদস্য

(১৪)                                     চেয়ারম্যান, ভূমি সংস্কার বোর্ড                                                                                সদস্য

(১৫)                                  মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তর                                                               সদস্য                   

(১৬-২১)                             ৬টি বিভাগের ৬ জন বিভাগীয় কমিশনার                                                                        সদস্য

(২২-২৩)                           জাতীয় পর্যায়ের কৃষক সংগঠনের দুইজনের প্রতিনিধি                                                          সদস্য
                                              (মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত)

(২৪)                               যুগ্ম -সচিব (প্রশাসন), ভূমি মন্ত্রণালয়                                                                                সদস্য-সচিব],

          (খ) জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির কার্যপরিধিঃ
(১) এই কমিটি দেশব্যাপী কৃষি খাসজমি বরাদ্দ সম্পর্কে নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন ।
(২) এই কমিটি দেশব্যাপী কৃষি খাসজমি বরাদ্দ ও ব্যস্থাপনার অগ্রগতি মূল্যায়ন করিবেন।
(৩) কৃষি খাসজমি চিহ্নিত ও বরাদ্দ সংক্রান্ত বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
(৪) এই কমিটি প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একবার বৈঠকে মিলিত হইবেন।

৪.০ `[(ক) জেলা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির গঠনঃ
            উপদেষ্টাঃ একজন সংসদ সদস্য
          ( ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত)

(১)                            জেলা প্রশাসক                                                           আহবায়ক


(২)                             পুলিশ সুপার                                                                সদস্য


(৩)                             অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)                                        সদস্য                       


(৪)                              সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা                                              সদস্য                   


(৫)                               উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর                             সদস্য                                 


(৬)                              উপ-পরিচালক,জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর                          সদস্য                                      


(৭)                                  সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা                                    সদস্য                           


(৮-৯)                               জেলা কৃষক সংগঠনের দুইজন প্রতিনিধি                           সদস্য                                       
                                       (মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত) 

(১০)                               জেলা কৃষক সমবায় সংগঠনের একজন প্ৰতিনিধি                  সদস্য                                             
                                      (মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত) 

(১১)                            জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি          সদস্য                                                       
                                           (মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত) )

(১২)                                   রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর                                        সদস্য-সচিব]             
,
(খ) জেলা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির কার্যপরিধিঃ
(১) জেলা কৃষি বরাদ্দ কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উহার বিধিমালা প্রচার।
(২) থানা কৃষি খাসজমি বরাদ্দ কর্মসূচী অনুযায়ী ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টনের প্রস্তাব অনুমোদন ও থানা কমিটির কার্যক্রম পর্যালোচনা ও তদারকী।
(৩) ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি সংক্রান্ত অনিয়ম সম্পর্কে সরেজমিনে তদন্ত ক্রমে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
(৪) কমিটি প্রতিমাসে একবার বৈঠকে মিলিত হইবেন এবং জেলার ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত কার্যক্রমের অবগতি সম্পর্কে প্রতিমাসে ভূমি মন্ত্রণালয়ে  প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন।

৫.০ `[(ক) উপজেলা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির গঠনঃ
            উপদেষ্টাঃ (ক) সংসদ সদস্য (সংশ্লিষ্ট)
                          (খ) চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ।
(১)                                           উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা                                             চেয়ারম্যান
(২)                                           উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা                                                    সদস্য
(৩)                                           ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা                                                   সদস্য
(৪)                                           উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা                                                  সদস্য
(৫)                                           বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিসার                                       সদস্য
(৬)                                          ইউ,পি, চেয়ারম্যান (সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জন্য)                           সদস্য
(৭)                                           বিত্তহীন সমবায় সমিতির ১জন প্রতিনিধি                                 সদস্য
                                                   (জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত)
(৮)                                          উপজেলা কৃষক সংগঠনের একজন প্রতিনিধি                            সদস্য
                                                   (মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত)
(৯)                                স্থানীয় সৎ, নিষ্ঠাবান ও জনহিতকর কার্যে উৎসাহী একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি                       সদস্য             
                                 (জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট মাননীয় সংসদ সদস্যদের সহিত পরামর্শক্রমে মনোনয়ন দিবেন)।
(১০)                                                স্থানীয় কলেজ কিংবা হাইস্কুলের একজন প্ৰধান                                     সদস্য                                                    

                                (জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট মাননীয় সংসদ সদস্যদের সহিত পরামর্শক্রমে মনোনয়ন দিবেন)।
(১১)                                       উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি                              সদস্য

                                                        (মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত) )
(১২)                                                সহকারী কমিশনার (ভূমি)                                                             সদস্য-সচিব ],


(খ) থানা কৃষি খাজজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির কার্যপরিধিঃ
    (১) থানার আওতাধীন এলাকায় কৃষি খাসজমি চিহ্নিতকরণ ও উদ্ধারকরণ।
    (২) উদ্ধারকৃত কৃষি খাসজমিকে নীতিমালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত প্রদানের সুবিধার্থে পস্নটে বিভক্তিকরণ।
    (৩) সরকারের কৃষি খাসজমি বরাদ্দ কর্মসূচী সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ।
    (৪) ভূমিহীনদের নিকট হইতে দরখাস্ত আহবান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে দরখাস্ত গ্রহণ।
    (৫) প্রাপ্ত দরখাস্ত বাছাই এবং নীতিমালা অনুযায়ী ভূমিহীনদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রনয়ন।
    (৬) নির্বাচিত ভূমিহীনদের জন্য খাস পস্নট বরাদ্দ দেওয়া সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান।
    (৭) বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমিহীনকে দখল প্রদান নিশ্চিতকরণ।
    (৮) বন্দোবস্ত গ্রহীতা প্রাপ্ত জমি যথাযথভাবে ব্যবহার করিতেছে কিনা, কেহ বন্দোবস্ত শর্তাবলী সঠিক ভাবে প্রতিপালন করিতেছে কিনা সেই সম্পর্কে তদারকী ও শর্তভংগ করিলে   জেলা প্রশাসকের নিকট বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা।
    (৯) সরকার কর্তৃক সময়ে প্রদত্ত অন্যান্য সকল দায়িত্ব প্রতিপালন ।

৬.০ ভূমিহীন বাছাই প্রক্রিয়াঃ

(ক) ভূমিহীনগণ থানা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সদস্য-সচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত দাখিল   করিবেন।
(খ) সদস্য-সচিব প্রাপ্ত দরখাস্তগুলি ইউনিয়ন-ওয়ারী বাছাই করিবেন
(গ) প্রাপ্ত দরখাস্তসহ থানা কমিটি প্রতিটি ইউনিয়নে বৈঠকে মিলিত হইবেন। এই সময় আবেদনকারীদেরকে কমিটির সামনে হাজির করিয়া জিজ্ঞাসাবাদ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে  প্রাথমিক বাছাই করিবেন।
(ঘ) প্রাথমিক বাছাই এর পর থানা কমিটি প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্তক্রমে আবেদনকারীর আবেদনের বিষয়ে সঠিকতা যাচাই করিবেন এবং এই ভাবে চুড়ান্ত ভাবে প্রকৃত ভূমিহীন পরিবার যাচাই করিবেন।
(ঙ) আবেদনকারীকে সহজে বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুবিধার্থে আবেদন পত্রের সহিত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার/চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত ২ কপি ফটো জমা দিতে হইবে এবং আবেদনপত্রে তাহার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।                                                           (চ) আবেদনপত্রের সহিত স্থানীয় ইউ,পি চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট জমা দিতে হইবে।
(ছ) একান্নভূক্ত একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে জমি দেওয়া যাইবে না।
(জ) জমি স্বামী-স্ত্রী দুইজনের যৌথ নামে প্রদান করা হইবে। তবে বিধবা মা বিপত্মীক এর ক্ষেত্রে একক নামেও দেওয়া যাইবে ।                                          (ঝ) কোন পরিবারকে জমির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সবোর্চ্চ ১.০০ (এক) একর জমি দেওয়া যাইবে। তবে দেশের উপকূলীয় চর অঞ্চলের জন্য খাস জমির প্রাপ্যতা অনুযায়ী অনুর্ধ্ব    ১.৫০ (দেড়) একর পর্যন্ত জমি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেওয়া যাইবে। উপকূলীয় জেলাসমূহ হইলঃ খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা,
ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম জেলায় সন্দ্বীপ থানা এবং কক্সবাজার জেলার সদর, কুতুবদিয়া, মহেষখালী, টেকনাফ ও চকোরিয়া থানা ],

৭.০ বরাদ্দকৃত কৃষি খাসজমি উত্তরাধিকার সূত্রে ব্যতীত অন্য কোনভাবে কাহারো নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না। কেহ এইরূপ করিলে সংশ্লিষ্ট জমি সরকারের খাস জমিতে পরিণত হইবে।
৮.০ ভূমিহীনদের মধ্যে খাস কৃষি জমি বন্টনের বিষয়ে থানা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি কর্তৃক সংঘটিত কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির নিকট অভিযোগ করিতে হইবে। জেলা কমিটি প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তক্রমে কোন অনিয়মের প্রমাণ পাইলে সংশ্লিষ্ট বন্দোবস্ত কেস বাতিল করিবেন এবং এই বিষয়ে দায়ী কর্মকর্তা/ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাসিত্মমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন ভূমি মন্ত্রণালয় পেশ করিবেন।।
৯.০ কৃষি খাসজমির সংজ্ঞাঃ
            বাংলাদেশ গেজেটের মাধ্যমে ৮ই মার্চ/১৯৯৫ ইং তারিখে জারীকৃত অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালার আওতায় সংজ্ঞায়িত অকৃষি খাসজমি বাদে অন্যান্য সকল জমি কৃষি খাসজমি হিসাবে গণ্য হইবে। অর্থাৎ দেশের সকল মেট্রোপলিটন এলাকা, সকল পৌর এলাকা এবং সকল থানা সদর এলাকাভূক্ত সকল প্রকার জমি ব্যতীত
ইহার বাহিরে অবস্থিত কৃষিযোগ্য সকল খাসজমিই হিসাবে বিবেচিত হইবে।
১০.০ ভূমিহীন পরিবারঃ
            (ক) যে পরিবারের বসতবাড়ী ও কৃষি জমি কিছুই নাই, কিন্তু পরিবারটি কৃষি নির্ভর।
            (খ) যে পরিবারের ১০ শতাংশ পর্যন্ত বসতবাটি আছে কিন্তু কৃষিযোগ্য জমি নাই এইরুপ কৃষি নির্ভর পরিবারও ভূমিহীন হিসাবে গণ্য হইবে।
১১.০ ভূমিহীন পরিবারের অগ্রাধিকার তালিকাঃ
            (ক) দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
            (খ) নদী ভাংগা পরিবার (যাহার সকল জমি ভাংগিয়া গিয়াছে)।
            (গ) সক্ষমপুত্রসহ বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার।
            (ঘ) ৫[কৃষি জমিহীন ও বাসত্মবাটিহীন পরিবার। ]
            (ঙ) অধিগ্রহণের ফলে ভূমিহীন হইয়া পড়িয়াছে এমন পরিবার।
            (চ)১০ শতাংশ বসতবাটি আছে, কিন্তু কৃষিযোগ্য জমি নাই এইরুপ কৃষি নির্ভর পরিবার।]
১২.০    (ক) এই নীতিমালা জারীর এক মাসের মধ্যে জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটি গঠন করিতে হইবে। ভূমি মন্ত্রণালয় এই কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।
            (খ) এই নীতিমালা জারীর এক মাসের মধ্যে জেলা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি গঠন করিতে হইবে। এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ               করিবেন।
            (গ) এই নীতিমালা জারীর এক মাসের মধ্যে থানা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি গঠন করিতে
হইবে। এই ব্যাপারে থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

১৩.০     (ক) কমিটি গঠিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে থানা কমিটি সংশ্লিষ্ট থানার বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাসজমি চিহ্নিত করিবেন এবং উহার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করিবেন এবং এই মর্মে ব্যাপক প্রচারনার ব্যবস্থা নিবেন।
(খ) প্রাথমিক তালিকায় প্রকাশিত কোন জমি সম্পর্কে কাহারও কোন আপত্তি থাকিলে তালিকা প্রকাশের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে থানা কমিটির নিকট আপত্তি পেশ করিতে হইবে। থানা কমিটি পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সকল আপত্তি সম্পর্কে শুনানী গ্রহণ করিবেন এবং কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষাক্রমে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং চুড়ান্ত
তালিকা প্রকাশ করিবেন।
(গ) থানা কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত প্রদানের ১৫ দিনের মধ্যে জেলা কমিটির নিকট আপীল করা যাইবে। জেলা কমিটি পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আপীল সম্পর্কে শুনানী গ্রহণ করিবেন ও কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষাক্রমে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
(ঘ) জেলা কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির নিকট আপীল করা যাইবে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীল সম্পর্কে শুনানী গ্রহণ করিবেন এবং কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষাক্রমে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
১৪.০ থানা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাসজমি চিহ্নিতকরণ ও চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের এক মাসের মধ্যে বন্দোবস্ত প্রার্থী ভূমিহীনদের নিকট হইতে আবেদনপত্র গ্রহণ করিবেন।
১৫.০ আবেদনপত্র প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে থানা কমিটি প্রকৃত ভুমিহীন বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করিবেন এবং বাছাইকৃতদের নামে জমি বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন।
১৬.০ থানা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটি কর্তৃক ভূমিহীন বাছাই ও জমি বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করার ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বন্দোবস্ত কেস রেকর্ড সৃজন পূর্বক প্রস্তাব থানা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন।
১৭.০ থানা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রস্তাব পাওয়ার ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে উহা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করিবেন।
১৮.০ জেলা প্রশাসক প্রস্তাব পাওয়ার পর ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উহা জেলা কমিটিতে পেশ করিবেন এবং জেলা
কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে প্রস্তাব অনুমোদন করতঃ সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট ফেরৎ পাঠাইবেন।
১৯.০ অনুমোদিত প্রস্তাব ফেরৎ পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবশ্যই ১৫ দিনের মধ্যে এক টাকা সেলামীর
বিনিময়ে বন্দোবস্ত প্রাপকের অনুকূলে কবুলিয়ত সম্পাদন করিয়া দিবেন, `[ রেজিস্ট্রেশন করার যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন ],
এবং বন্দোবস্ত প্রাপকের নামে খতিয়ান খুলিয়া দিবেন।
২০.০ কবুলিয়ত সম্পাদনের ১৫ দিনের মধ্যে থানা কমিটি বন্দোবস্ত প্রাপকের অনুকূলে বন্দোবস্তকৃত জমির দখল
বুঝাইয়া দিবেন।
২১.০ কোন মৌজার কৃষি খাসজমি সংশ্লিষ্ট মৌজার ভূমিহীন প্রার্থীদের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করিতে হইবে। ঐ মৌজার প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ প্রদানের পর আরও জমি থাকিলে পার্শ্ববর্তী মৌজার ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া যাইবে। "[তারপরেও অতিরিক্ত খাস জমি থাকিলে পর্যায়ক্রমে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী উপজেলার ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া যাইবে।], এই ব্যাপারে জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
২২.০ ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টনের বিষয়ে থানার বড় বড় হাট-বাজারে লোক সমাগমের দিনে মাইকযোগে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করিতে হইবে। তাহাছাড়া থানার প্রতিটি গ্রামে মাইকযোগে কিংবা ঢোল শহরতের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করিতে হইবে। থানা নির্বাহী অফিসার এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করিবেন।
২৩.০ থানা পর্যায়ের সকল সরকারী, আধা সরকারী ও বেসরকারী অফিস এবং ইউনিয়ন পরিষদ এর নোটিশ বোর্ডে ভূমিহীনদের মধ্যে কৃষি খাসজমি বন্টনের বিষয়ে নোটিশ টানাইতে হইবে।
২৪.০ প্রকৃত ভূমিহীন বাছাইয়ের বিষয়ে থানা কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সকল সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হওয়া বাঞ্জনীয়। তবে কোন ক্ষেত্রে দ্বি-মত দেখা দিলে সভাপতি বাদে উপস্থিত সকল অফিসিয়াল ও নন-অফিসিয়াল সদস্যদের প্রত্যক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। উভয় পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়িলে সভাপতি নির্ণায়ক (কাষ্টিং) ভোট দিবেন।
২৫.০ ভূমিহীনদের নির্বাচন এবং তালিকা প্রণয়নের বিষয়ে সার্বিক সতর্কতা ও কঠোর নিরপেক্ষতা অবলম্বন করিতে হইবে।
২৬.০ বনভূমি হিসাবে নোটিফিকেশনকৃত খাস কৃষি জমি এবং চিংড়ী ও লবণ চাষোপযোগী খাসজমি এই নীতিমালার আওতায় বন্দোবস্ত দেওয়া যাইবে না।
২৭.০`[নদী পয়স্থি জমি বা চর ভূমির ক্ষেত্রে দিয়ারা সেটেলমেন্ট না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ চর্চা ম্যাপের সঠিকতা ও যথার্থতা সম্পর্কে সম্পূর্ণরুপে নিশ্চিত হইয়া তাহার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট থানার ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে উক্ত কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করিতে পারিবেন এবং এই সকল জমির যথাশীঘ্র সম্ভব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিয়ারা জরিপ সম্পন্ন করিতে হইবে। দিয়ারা জরিপ সম্পন্ন হওয়ার পর উক্ত চর্চা ম্যাপের ভিত্তিতে সম্পদিত বন্দোবস্ত কেসসমূহ সমন্বয় করিতে হইবে। তবে উক্ত কার্যক্রম ১৯৯৪ সালের ১৫ নং আইনের সাথে সংগতিপূর্ন করিতে হইবে।]
২৮.০ আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠার নির্বাচিত খাসকৃষি জমি এই নীতিমালার আওতায় বন্দোবস্ত দেওয়া যাইবে না। বর্তমানে আদর্শ গ্রাম সৃজনের জন্য অনুস্বত নীতিমালা/বিধিমোতাবেক অনুরূপ জমিতে আদর্শ গ্রাম সৃজন/প্রতিষ্ঠা করা হইবে।
২৯.০ কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য কোন ভূমিহীন প্রার্থী আবেদনপত্র কোন ভুল তথ্য উপস্থাপন করিলে কিংবা কোন তথ্য গোপন করিলে তাহাদের আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং প্রয়োজনে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
৩০.০ বন্দোবস্ত প্রাপ্তির পর কোন বন্দোবস্ত গ্রহীতা ভূমি সংক্রান্ত সরকারের কোন আইন/অধ্যাদেশ বা আদেশ লংঘন করিলে তাহার বন্দোবস্ত বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং জেলা ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদনক্রমে থানা ব্যবস্থাপনা কমিটি বন্দোবস্তকৃত জমি পুনরায় খাস হিসাবে পুনঃগ্রহণ করতঃ খাস খতিয়ানে সংরক্ষণ করিবেন।

৩১.০ এই নীতিমালার আওতায় ভূমিহীনদের মধ্যে খাস কৃষি জমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে কোথাও কোন বড় ধরণের সমস্যা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বিষয়টি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য-সচিবের নিকট লিখিত আকারে উপস্থাপন করিবেন। সদস্য- সচিব বিষয়টি কমিটির সভায় পেশ করিবেন এবং এই ব্যাপারে জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
৩২.০ সকল কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট কমিটির অন্ততঃ ১/৩ ভাগ সদস্য উপস্থিত থাকিলেই সভার কোরাম হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে। কোন সদস্য পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে তাহার সদস্য পদ বাতিল বা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়োগ/মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে।
৩৩.০ কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত সংক্রান্ত গঠিত কমিটিগুলি সর্বদা পারস্পারিক সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইবেন।
৩৪.০ জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটি প্রয়োজনে জনস্বার্থে এই নীতি মালার যে কোন ধারা/উপ-ধারা সংশোধন কিংবা পরিবর্তন-পরিবর্ধন করিতে পারিবেন।

 

 

 

শেয়ার করুন:

মন্তব্যসমূহ (0)

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রথম মন্তব্যকারী হোন!