নীতিমালা

ফলবাগান ইজারা নীতিমালা

প্রকাশ: 27 May, 2015 প্রকাশক: গেজেট বর্ষ: ২০১৫ দেখা হয়েছে: 22 বার মন্তব্য: 0
Cover image for ফলবাগান ইজারা নীতিমালা

বিস্তারিত / তফসিল

নং ৩১.০০.০০০০.০৪১.৪১.০৬০.১৪-২৩৬—সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ফলবাগানসমূহের ব্যবস্থাপনা ও ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো ।
১। এ নীতিমালা “ফলবাগান ইজারা নীতিমালা-২০১৪” নামে অভিহিত হবে। নীতিমালাটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
২। সংজ্ঞা :
ক) ইজারা গ্রহীতা বলতে নীতিমালার অধীন ফলবাগান ইজারা গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে ।
খ) ইজারা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বলতে জেলা প্রশাসককে বুঝাবে ।
গ) আপীল কর্তৃপক্ষ বলতে বিভাগীয় কমিশনারকে বুঝাবে ।
ঘ) ফলবাগান বলতে আম, অন্য কোন ফল বা একই বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফলবিশিষ্ট বাগানকে বুঝাবে যেখানে নিয়মিত ফল উৎপন্ন হয় ।
৩ । ইজারা প্রদানঃ 
ক) সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমির ফলবাগান এ নীতিমালায় বর্ণিত পদ্ধতিতে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইজরা প্রদান করা হবে।
খ) ইজারার মেয়াদকাল ৩(তিন) বছর যা ১ কার্তিক হতে শুরু হয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদন্তে ৩০ আশ্বিন শেষ হবে ।
গ) জেলায় জেলা ফলবাগান ইজারা ও ব্যবস্থাপনা কমিটি” নামে নিম্নরূপ একটি কমিটি থাকবে।

জেলা ফলবাগান ইজারা ও ব্যবস্থাপনা কমিটিঃ
১) জেলা প্রশাসক - সভাপতি
২) পুলিশ সুপার - সদস্য
৩) উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর - সদস্য
8) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) - সদস্য
৫) উদ্যানতত্ত্ববিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর - সদস্য
৬) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আম গবেষণা কেন্দ্র (যদি থাকে) - সদস্য
৭) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সংশ্লিষ্ট) - সদস্য
৮) রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর - সদস্য-সচিব
মাননীয় ভূমি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট জেলার ১(এক) জন মাননীয় সংসদ সদস্য কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন ।
দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির কোরাম হবে। কমিটি প্রয়োজনে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
৪। কমিটির কার্যপরিধিঃ
ক) ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তির ব্যবস্থা করা;
খ) প্রাপ্ত দরপত্রসমূহ যাচাই-বাছাইপূর্বক বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা;
গ) বাগানসমূহ সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা;
ঘ) ফলবাগান সৃষ্টি ও বিলুপ্তির সুপারিশ করা ।
৫। ইজারা পদ্ধতিঃ
ক) সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসক ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্ততঃ ৬(ছয়) মাস পূর্বে পরবর্তী বছরের ইজারা কার্যক্রম শুরু করবেন।
খ) উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সীলমোহরকৃত খামে দরপত্র আহবান করতে হবে।
গ) দরপত্র দাখিলের জন্য ২১ দিন সময় দিয়ে বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়, পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ এর নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে প্রচার করতে হবে। বড় বড় হাট-বাজারে ঢোল-সহরতের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা
প্রশাসনের ওয়েব-সাইটে প্রকাশ করতে হবে।
ঘ) পর পর ৩(তিন) মেয়াদের গড় ইজারা মূল্য অথবা বিগত মেয়াদের ইজারা মূল্য এর মধ্যে যা বেশি হবে তার সাথে ১০% যোগ করে সম্ভাব্য ইজারা মূল্য নির্ধারণ করতে
হবে।
ঙ) দরপত্রে উদ্ধৃত দরের ২৫% অর্থ পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফ্ট এর মাধ্যমে দরপত্রের সাথেজমা দিতে হবে।
চ) বৈধ দরপত্রসমূহের সর্বোচ্চ উদ্ধৃত দর সম্ভাব্য মূল্যের সমান/অধিক হলে কমিটি ইজারা প্রদানের জন্য সুপারিশ করতে পারবে।
ছ) কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক দরপত্র গ্রহণ করবেন এবং দরপত্র গৃহীত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সমুদয় অর্থ পরিশোধ করতে নির্দেশ দিবেন ।
জ) পর পর ৩(তিন) বার দরপত্র আহবানের পরও কাঙ্খিত মূল্য পাওয়া না গেলে তার কারণ চিহ্নিত করে কমিটি ৩য় বারের সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা প্রদানের সুপারিশ করবে এবং
উক্ত সুপারিশ বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক অনুমোদনের পর ইজারা প্রদান করা যাবে। তবে ৩য় বারের সর্বোচ্চ দরদাতার দর ১ম ও ২য় বারের সর্বোচ্চ দরদাতাদের দরের চেয়ে কম হলে কমিটি উক্ত সর্বোচ্চ দরদাতাদেরকে পর্যায়ক্রমে লিখিতভাবে ইজারা গ্রহণের আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। উক্ত আমন্ত্রণে কেউ আগ্রহী না হলে কমিটি পুনঃদরপত্র আহবান করতে পারবে।
ঝ) ইজারা গ্রহীতা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সমুদয় অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে দরপত্র বাতিলসহ জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে ।
ঞ) ইজারা গ্রহীতাকে সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
ট) গৃহীত দরপত্রের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ হওয়ার পর যথাশীঘ্র ৩০০ (তিনশত) টাকা মূল্যের/সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নির্ধারিত ফরমে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে বাগানের দখল হস্তান্তর করতে হবে ।
ঠ) ইজারা গ্রহীতা বাগানের কোনরূপ ক্ষতিসাধন করলে অথবা চুক্তিপত্রের শর্ত ভংগ করলে কমিটি ইজারা বাতিলসহ যুক্তিসংগত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে আদায় করতে পারবে।"
৬। আদেশের বিরুদ্ধে আপিল :
ক) জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ইজারা সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নিকট অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
খ) বিভাগীয় কমিশনার সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিল আবেদন প্রাপ্তির পর নথি তলব করে পক্ষগণকে শুনানী দিয়ে আদেশ প্রদান করবেন এবং বিভাগীয় কমিশনারের আদেশই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে ।
৭। ইজারা বাতিল :
ক) ইজারা গ্রহীতা কোন ক্রমেই ইজারা প্রাপ্ত ফলবাগান সাব-লিজ দিতে পারবেন না। ইজারা গ্রহীতা সাব-লিজ প্রদান করলে বা ইজারার কোন শর্ত ভংগ করলে ইজারা বাতিল বলে
গণ্য হবে।
৮ । এই নীতিমালা সরকারি অফিস কম্পাউন্ড এলাকার ফলগাছ/ফলবাগানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না । এক্ষেত্রে সরকারি অফিস কম্পাউন্ড এলাকার জমি যে প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ড আছে তার মালিকানার ভিত্তিতে সে প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্য নিলাম/সীলমোহরকৃত দরপত্রের মাধ্যমে ০১ বছর মেয়াদি ইজারা প্রদানের ব্যবস্থা নিবে ।

শেয়ার করুন:

মন্তব্যসমূহ (0)

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রথম মন্তব্যকারী হোন!