সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি

বিস্তারিত / তফসিল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ভূমি মন্ত্রণালয়
সায়রাত-১ শাখা
প্রজ্ঞাপন
তারিখ, ৩১ ফাল্গুন ১৪১৮/১৪ মার্চ ২০১২
নং ৩১.০০.০০০০.০৫০.৬৮.০২০.০৯-২২৩ –সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ৩৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯, অতঃপর উক্ত নীতি বলে উল্লিখিত, এর নিরূপ সংশোধন করা হ’ল, যথাঃ—
উক্ত নীতি এর-
(১) অনুচ্ছেদ ৩ এর দফা (ক) এর পর নিরূপ দফা (কক) সংযোজিত হবে, যথাঃ “(কক)(১) সাধারণভাবে অনুমোদিত প্রকল্প দলিল (উচচ) অনুযায়ী প্রকল্প মেয়াদ অথবা ৬(ছয়) বছর, এ দু’য়ের মধ্যে যেটি কম, সে মেয়াদের জন্য সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষরিত হবে:
তবে শর্ত থাকে যে কোন প্রকল্পের মেয়াদ ৬(ছয়) বছরের অধিক হলে, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রথম ৬(ছয়) বছর পর অনধিক ৬(ছয়) বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে, সমঝোতা স্মারকটি নবায়ন করা যাবে। এরূপ নবায়নের প্রয়োজন হলে, সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার অন্ততঃ ৬(ছয়) মাস পূর্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে।
(২) সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে কোন জলমহাল হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাব পাওয়া গেলে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট হতে উক্ত জলমহাল বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন সংগ্রহ করবে।”
(২) অনুচ্ছেদ ৪ এর পরিবর্তে নিরূপে অনুচ্ছেদ ৪ প্রতিস্থাপিত হবে, যথাঃ-
“৪. ২০ একর পর্যন্ত বদ্ধ সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা :
(ক) যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০(বিশ) একর পর্যন্ত সকল বদ্ধ সরকারি জলাশয়সমূহ যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ইজারা প্রদানের জন্য ইতোপূর্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছিল, তা আর অব্যাহত থাকবে না। ২০ একর পর্যন্ত সকল বদ্ধ সরকারি জলমহালসমূহ ইজারার মেয়াদ শেষ হলে অন্যান্য জলমহালের মত ইজারা বন্দোবস্ত প্রদান করা হবে, তবে এ ক্ষেত্রে যুব মৎস্যজীবীদের নিবন্ধিত সমিতি অগ্রাধিকার পাবে।
(খ) ২০ একর পর্যন্ত জলমহাল/পুকুর ইজারা প্রদানের জন্য উপ-অনুচ্ছেদ (ক) এর অধীন কোন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি পাওয়া না গেলে, সমাজ ভিত্তিক মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনার অনুকরণে, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট পুকুর/জলমহালের চারপার্শ্বের নিকটবর্তী অবস্থানে বসবাসরত নিতে বর্ণিত ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে এতদুদ্দেশ্যে গঠিত ও সমবায় অধিদপ্তর কিংবা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের স্থানীয় অফিসে নিবন্ধিত একক সমিতিকে সংশ্লিষ্ট জলমহাল/পুকুর তিন বছর মেয়াদে ইজারা প্রদান করা যাবেঃ
(ক) বেকার যুবক ;
(খ) মুক্তিযোদ্ধা/মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ;
(গ) যুব মহিলা ;
(ঘ) বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ;
(ঙ) আনসার, ভিডিপি ও গ্রামপুলিশ সদস্য ;
(চ) দরিদ্র ও অসচ্ছল ব্যক্তি।
তবে, কোন পরিবার হতে একাধিক ব্যক্তি এ সমিতির সদস্য হতে পারবেন না।
(গ) এই অনুচ্ছেদের দফা (খ) এর অধীন কোন জলমহাল/পুকুর ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে একর প্রতি বার্ষিক ১৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা হারে ইজারা মূল্য নির্ধারিত হবে এবং সরকার সময়ে সময়ে আদেশ দ্বারা এ হার পুনঃ নির্ধারণ করতে পারবে।”
(৩) অনুচ্ছেদ ৫এর উপ-অনুচ্ছেদ (৪) এর দফা (চ)এর পরিবর্তে নিরূপ দফা (চ) প্রতিস্থাপিত হবে, যথা :-
“(চ) জলমহালটি যে জেলায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট জলমহালের তীরবর্তী বা নিকটবর্তী সেই জেলার প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতিকে জলমহালটি ইজারা বন্দোবস্ত প্রদান করতে হবে।”
(৪) অনুচ্ছেদ ৬-এ উল্লিখিত যে উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেই, সে উপজেলায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন” শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘‘যে উপজেলায় সহকারী কমিশনার(ভূমি) নেই, সে উপজেলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন” শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।"
(৫) অনুচ্ছেদ ৭ এর উপ-অনুচ্ছেদ (৫) এর অধীন গঠিত কমিটি নিরূপে প্রতিস্থাপিত হবে, যথাঃ
(ক) মাননীয় ভূমি মন্ত্রী - সভাপতি
(খ) মাননীয় ভূমি প্রতিমন্ত্রী - সদস্য
(গ) সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয় - সদস্য
(ঘ) অতিরিক্ত সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয় - সদস্য
(ঙ) যুগ্মসচিব (প্রশাসন), ভূমি মন্ত্রণালয় - সদস্য
(চ) যুগ্মসচিব (উন্নয়ন), ভূমি মন্ত্রণালয় - সদস্য
(ছ) সংশ্লিষ্ট উপসচিব, ভূমি মন্ত্রণালয় - সদস্য-সচিব
(৬) অনুচ্ছেদ ১৫ এর–
(ক) দফা (ঘ) এর পরিবর্তে নিরূপ দফা (ঘ) প্রতিস্থাপিত হবে, যথাঃ-
“(ঘ) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, গোরস্থান পাবলিক ইজমেন্টের ব্যবহৃত জলাশয়সমূহ। এ দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় কোন কোন পুকুর/জলাশয় পাবলিক ইজমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হবে তার তালিকা প্রণয়ন পূর্বক অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করবে। জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের পর উক্ত তালিকা উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করবেন।”
(খ) দফা (ঙ) এর পর নিরূপ দফা (চ) সংযোজিত হবে, যথা :
“(চ) ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার্থে পুকুর/দিঘী/ জলমহাল সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হলে ভূমি মন্ত্রণালয় ঐ সকল পুকুর/ দিঘি/জলমহাল ইজারাবিহীন রাখতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পর্যটন গুরুত্ব বিঘ্ন না ঘটিয়ে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কিন্তু কোন ক্রমেই ইহা লিজ প্রদান করা যাবে না।”
(৭) অনুচ্ছেদ ৩১ এ উল্লিখিত ‘‘সমিতি” শব্দের পর “/ব্যক্তি” চিহ্নটি ও শব্দটি বিলুপ্ত হবে।
মন্তব্যসমূহ (0)
মন্তব্য করতে লগইন করুন।
এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রথম মন্তব্যকারী হোন!