নির্দেশিকা

ঢাকা মহানগরী জরিপ-১৯৯৫

প্রকাশ: N/A প্রকাশক: গেজেট দেখা হয়েছে: 231 বার মন্তব্য: 0
Cover image for ঢাকা মহানগরী জরিপ-১৯৯৫

বিস্তারিত / তফসিল

 

 

                                                                                                                                              ১ম অধ্যায়

                                                                                                                                  ক্যাডাষ্ট্রাল সাধারণ নির্দেশাবলী
ভূমিকাঃ ঢাকা মহানগরীতে সংশোধনী জরিপ পরিচালনাকালে সমগ্র মহানগরী এলাকাকে কতগুলো জরিপ এলাকায় ব। ইউনিটে বিভক্ত করা প্রয়োজন। জরিপ বিভাগের ভাষায় এই ইউনিট বা এলাকাকে ক্যাডাষ্ট্রাল সার্কেল বলে। প্রতিটি সার্কেলের দায়িত্বে থাকেন একজন ক্যাডাষ্ট্রাল সার্কেল অফিসার। সাধারণতঃ একজন এ, এস, ও ক্যাডাট্রাল সার্কের অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। মাঠ জরিপের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা কর।, এলাকার লোকজন ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সহিত যোগাযোগ করা এবং জরিপ বিষয়ক কাজে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহিত সংযোগ রক্ষা করা তাহার প্রধান কর্তব্য। তিনি তাহার জন্য নির্ধারিত সার্কেল ক্যাম্পে যাত্র। করিবার পূর্বে চার্জ অফিসার ও সেটেলমেন্ট অফিসারের সংগে সাক্ষাৎ করিয়া প্রয়োজনীয় নির্দেশ গ্রহণ করিবেন।

সার্কেল অফিসারের দায়িত্ব ও কর্তব্য :-
  ক্যাডাট্রাল সার্কেল অফিসারের কর্তব্য ও দায়িত্বকে মোটামুটিভাবে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় ।
               (ক) সাধারণ
               (খ) প্রসাশনিক
               (গ) মাঠ কাজ পরিচালনা
               (ঘ) মাঠ কাজ পরিদর্শন
               (ঙ) প্রতিবেদন প্রেরণ

সাধারণ দায়িত্ব :-
         (১) সার্কেল ক্যাম্পে যোগদানের সাথে সাথে সার্কেল অফিসার তাহার যোগদান সম্পর্কে সদর সেটেলমেন্ট অফিসারকে অবহিত করিবেন।
         (২) তাহার অধীনস্থ হলক। ক্যাপগুলির জন্য তাহার পেশকার কর্তৃক সদর অফিস হইতে গৃহীত ফরম, আসবাবপত্র মনোহারী দ্রব্য বরাদ্ধ মোতাবেক আন৷ হইয়াছে কিনা এবং সার্ভে যন্ত্রপাতিগুলি কাজের উপযোগী আছে কিনা তাহা দেখিবেন এবং পরীক্ষা করিবেন। উপরোক্তভাবে পরীক্ষার পর তিনি চালান সহি করিয়া সদর
অফিসে পাঠাইবেন।
        (৩) ফরম, মনোহারী দ্রব্য, আসবাব পত্র সার্ভে যন্ত্রপাতি ইত্যাদির জন্য  রেজিষ্ট্রার খুলিয়া উক্ত মালামাল যথারীতি এবং ঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে কিনা এবং বিভিন্ন হলকায় উক্ত মালামাল প্রদানের জন্য প্রত্যেক হলকার অনুকুলে কিন।
        (8) আমিনগণ এবং হলকা অফিসারবৃন্দ সকাল ৮ ঘটিকার পূর্বেই মাঠে বাহির হুইরা অপরাহ্ন ৪-৩০ মি: পর্যন্ত যাহাতে মাঠের কাজ করেন। এই বিষয়ে তিনি
নিশ্চয়তা বিধান করিবেন। প্রত্যেক ইলকার দৈনন্দিন কাজের অগ্রগতি জানিতে হইবে এবং প্রয়োজনবোধে চার্জ অফিসারের অনুমোদনক্রমে অধীনস্থ ফিল্ড কর্মচারীদের
আভ্যন্তরীন বদলীর মাধ্যমে সমনুর সাধন করিয়া কাজের নির্ধারিত অগ্রগতি ঠিক রাখিতে হইবে।

       (৫) তিনি পরিদর্শনের জন্য ভ্রমনের সময় যতদুর সম্ভব অধিক সংখ্যক জন গণের সহিত সাক্ষাৎ করতঃ তাহাদিগকে নিম্নলিখিত বিষয় গুলি বিশদ ভাবে বুঝাইয়া
দিবেন।
                  (ক) ভুমি মালিকের স্বত্ব ও স্বার্থ সঠিকভাবে রেকর্ড করার জন্য মাঠ জরিপের প্রয়োজনীয়তা।
                  (খ) আমিনের টেবিলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ সময়মত উপস্থিত থাকার উপকারিতা ।
                  (গ) হাজির না থাকিলে রেকর্ডে কোন্ কোন্ ধরণের এবং কি কি ভুল সংঘটিত হইতে পারে তাহার ব্যাখ্যা ।
                  (ঘ) আমিনের টেবিলে অনুপস্থিত থাকিলে অনিষ্টকারী টাউটগণ ভুল রেকর্ড তৈরী করাইয়া কি পরিমাণ ক্ষতিসাধন করিতে পারে তাহা বুঝাইয়া দেওয়া।
                  (ঙ) আমিনদের সহিত সহযোগিতা করিয়। শুদ্ধ রেকর্ড তৈরী করিতে সহায়তা করার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা।
৪। অফিস প্রশাসন :-
সর্বপ্রথম অফিস চালু করিয়া তাহা সুবিন্যাস্ত ও সুসংগঠনের দায়িত্ব সার্কেল অফিসারের। এই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে সার্কেস অফিসে বিভিন্ন প্রকার রেজিষ্ট্রার রাখিতে হয়। সার্কেল ক্যাম্পে যোগদানের সংগে সংগে যাহাতে পেশকার নিম্নলিখিত রেজিষ্ট্রার গুলি খুলিয়। ফেলেন সেই বিষয়ে সার্কেল অফিসারকে নিশ্চিত হইতে হইবে।

           (১) আসবাব পত্রের স্টক রেজিষ্টার।
           (২) সার্ভে যন্ত্রপাতির ষ্টক রেজিষ্টার।
           (৩) মনোহারী দ্রব্যাদির ষ্টক রেজিষ্টার ।
           (8) সিটের টক রেজিষ্টার ৷
           (৫) ফরমের ষ্টক রেজিষ্টার।
           (৬) মাঠ কর্মচারীদের জন্য ষ্টাফ রেজিষ্টার (হারি। খাতা)। ১৭০০ স
           (৭) পত্র জারীর রেজিষ্টার ।
           (৮) পত্র প্রাপ্তিন্ন রেজিষ্টার।
           (৯) ক্যাশ বহি ।
           (১০) সার্ভিস স্ট্যাম্প রেজিষ্টার।
           (১১) পরিদর্শন রেজিষ্টার।
           (১২) রেজিষ্টার সমূহের রেজিষ্টার ।
           (১৩) কোর্ট ফি রেজিষ্টার।
           (১৪)  পি, ডি, সি এবং এ্যাকুই টেম্স রেজিষ্টার
           (১৫) বিবিধ দরখাস্তের রেজিষ্টার ।
           (১৬) অগ্রগতির রেজিষ্টার ।
           (১৭) রেকর্ড রেজিষ্টার ।
           (১৮) প্রসেস রেজিষ্টার ।

    উপরোল্লিখিত রেজিষ্টারগুলির মধ্যে ১ হইতে ১২ নং ক্রমিক পর্যন্ত রেজিষ্টারগুলিসার্কেল ক্যাম্পের কাজ আরম্ভ করার সংগে সংগে খুলিয়া উহা পুরণ করিতে হইবে।
হলক। অফিগারগণ তাহাদের নিজ নিজ হলকার উদ্দেগ্যে রওয়ানা হওয়ার কয়েকদিন পর ১৩ হইতে ১৮ নং ক্রনিকের রেজিষ্টারগুলি খুলিতে হইবে ।
   সদর অফিস হইতে সরবরাহকৃত নির্ধারিত ফরমের বাঁধান বহি ক্যাশ বহি হিসাবে ব্যবহার করিতে হইবে। প্রতিদিন যে টাকা গ্রহণ এবং প্রদান করা হয় তাহা অবশ্যই
সংগে সংগে ক্যাশ বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উহ। সার্কেল অফিসারকে সহি করিতে হইবে।

৫। অগ্রগতির বিবরণ :-
    (ক) হলক। অফিসারগণ হইতে যথা সময়ে অগ্রগতির বিবরণ পাওয়া গেল কিনা তাহার প্রতি অবশ্যই সার্কেল অফিসার লক্ষ্য রাখিবেন।

    (খ) হলক। ক্যাম্প হইতে প্রাপ্ত অগ্রগতির বিবরণ এবং সেই সাথে সংশ্লিষ্ট) মৌজা বা মৌজাগুলির বিভিন্ন তথ্যাদি ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়া দেখিবেন রিটার্ণ শুদ্ধভাবে ও সঠিকভাবে তৈয়ার করা হইয়াছে কিনা। হলকা অফিসারগণ তাহাদের নোটে কাজের সঠিক অবস্থা এবং যথভাবে উল্লেখ করিয়াছেন কিনা তাহাও দেখিতে হইবে। সার্কেলের নিয়ন্ত্রণে প্রদত্ত সমুদয় মৌজার কর্মসূচীতে সম্ভাব্য দাগ সংখ্যা বিগত জরিপ অপেক্ষ। ৫০% ও খতিয়ানের সংখ্যা ৭৫% বৃদ্ধি দেখানো হইয়াছে কিনা তাহা পরীক্ষা করিয়া রিটার্ণ তৈরী করিতে
হইবে।
    (গ) নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সার্কেলের অগ্রগতির বিবরণের অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-

                  ১। সকল হলকা অফিসারের অগ্রগতির বিবরণ।
                  ২। সীমানা লইয়া বিবাদ থাকিলে তাহার বিবরণ ।
                  ৩। কাজের অগ্রগতি দেখাইয়া ১``=১ মাইল স্কেলে সার্কেল নৌজ-মিলি ।
                  8। নির্ধারিত ফরমে কিস্তোয়ার, খানাপুরী এবং বুঝারত কার্য্যের অগ্রগতি ৷

নিম্নের নমুনা ফরমে প্রতিটি কাজের বিবরণী দাখিল করিবেন :-

দফাওয়ারি  কার্য্যের নামকার্য্যেরত টেবিল সংখ্যাকার্য্যে দিনের সংখ্যাখানাপুরী কাজে ব্যয়কৃত দিনের সংখ্যাকার্য্যের মোট পরিমানকার্য্যে দৈনিক গড় পরিমানদৈনিক কার্য্যে নির্ধারিত পরিমানকার্য্যের অগ্রগতির কম হওয়ার কারণমন্তব্য

 

 

মৌজমিলি :-

সার্কেল অফিসার এবং হলক৷ অফিসারের রেজিস্ট্রারের সহিত পৃথক পৃথকভাবে স্ব-স্ব এলাকার মৌজমিলি গ্রথিত করিতে হইবে। স্বচ্ছ কাগজে (ট্রেসিং পেপার) সঠিকভাবে
মৌজমিলি প্রস্তুত কর মাসিক অগ্রগতির বিবরণীর সাথে পাঠাইতে হইবে। প্রচলিত রীতিসিদ্ধ নিম্নলিখিত চিহ্নদ্বারা মৌজমিলিতে কাজের অগ্রগতি দেখাইতে হইবে।

                              (১) কিস্তোয়ার :  কালো সামান্তরাল রেখা।

                              (২) থানাপুরী  :  খাড়া কালো রেখা।

                              (৩) বুঝারত   :  সবুজ কালিতে চতুর্ভূজের কর্ণের রেখা

ঊর্ধ্বতন অফিসারগণের পরিদর্শনের নিমিত্তে সার্কেল অফিসার এবং হলকা অফিসারগণ একটি করিয়া অতিরিক্ত মৌজমিলি সঙ্গে রাখিবেন। মৌজমিলিতে দৈনন্দিন
কাজের অগ্রগতির উল্লেখ থাকিবে। দৈনন্দিন কাজের অগ্রগতি চিহ্নিত করিয়া মৌজমিলির অপর একটি কপি সার্কেল অফিসার ও হলকা অফিসারগণের স্ব-স্ব অফিসে লটকাইয়া
রাখিতে হইবে যাহাতে পরিদর্শনকারী অফিসার সহজেই কাজের অগ্রগতি বুঝিতে পারেন।

কাজের মাসিক ডায়েরী :-

ক্যাডাট্রাল সার্কেল অফিসার তাহার মাসিক অগ্রগতির বিবরণের সহিত সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট তাহার কাজের মাসিক ডায়েরী দাখিল করিবেন। সার্কেল অফিসার হলকা অফিসারদের ডায়েরী সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করতঃ মন্তব্যসহ চার্জ অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন। প্রতিদিন সার্কেল অফিসার ক্যাম্প পরিত্যাগের পূর্বে তাহার
ডায়েরী পূরণ করিবেন। তিনি ডায়েরীতে কোন্ কোন্ মৌজা বা কোন্ কোন্ সিট কোন্ সময়ে পরিদর্শন করিবেন তাহার সম্ভাব্য সময়সীমা পরিস্কার ভাবে লিখিয়া তাহা পেস্কার অথবা আদালী পিয়নের নিকট রাখিয়া বাহির হইবেন। যাহাতে যে কোন অফিসার পরিদর্শনে আসিয়া সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসারের অবস্থান জানিতে পারেন বা কোন বাহক মারফত তাহার নিকট সংবাদ প্রেরণ করিতে পারেন।

বিভিন্ন বিল :-
      সরদার আমিন, বদর আমিন, চেইনম্যান এবং হলকা অফিসারগণের আদালী পিয়নদের মাসিক বেতনের বিলের চারি কপি প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে যাহাতে
সার্কেলে পৌঁছে সেইদিকে সার্কেল অফিসার লক্ষ্য রাখিবেন। সার্কেল পেশকার বিল-গুলি চেক করিয়া কোন ভুল ভ্রান্তি থাকিলে তাহা সংশোধন পূর্বক সার্কেল অফিসারের
দস্তখতের জন্য পেশ করিবেন।

      সার্কেল অফিসার বিল নির্ভুল ভাবে তৈরী হইয়াছে ইহা নিশ্চিত হইয়া উহাতে প্রতিস্বাক্ষর করতঃ সার্কেল কর্মচারীগণের বিলসহ প্রতিটির তিন কপি নির্ধারিত তারিখে
সদরে পাঠাইবেন। প্রথম মাসের বিলের সহিত, সরদার আমিন, বদর আমিন ও চেইন ম্যানদের যোগদান পত্রের অনুলিপি অবশ্যই সংযোগ করিতে হইবে ।
       বিভিন্ন হলকা ক্যাম্প হইতে প্রাপ্ত কণ্টিনজেণ্ট বিল সার্কেলে একত্রিত করিয়া সদরে পাঠাইতে হইবে। প্রতি মাসের বিল পৃথক পৃথকভাবে তৈরী করিতে হইবে।
ভাউচারগুলি পরীক্ষা করিয়া সার্কেল অফিসার প্রত্যেকটি ভাউচার পাশ করিবেন এবং বিলে সহি করিবেন।

কন্টিনজেন্ট বিলের ফরম নিম্নরূপ হইবে :

ভাউচার নংভাউচারের তারিখব্যয়ের উদ্দেশ্য ও বিবরণটাকাপয়সামন্তব্য

 

পিডিসি এবং এ্যাকুইটেন্স রোল :

সার্কেল অফিসার নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি নজর রাখিবেন :-

 (১) বিলের টাকা প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে নিম্নের বিবরনীসহ উহার পিডিসি এবং উহার এ্যাকুইটেল রোল সদরে পাঠাইতে হইবে। অন্যথায় সদর অফিস হইতে টাকা বিতরণ বন্ধ থাকিবে।
পিডিসি ও এ্যাকুইটেস রোল এর ছক :-

অবিলিকৃত টাকা :
১। যে কোন অবিলিকৃত টাকা প্রাপকের নাম, বর্তমান ঠিকানা, পদবী, বিল নং টাকার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক পূর্ণাঙ্গ বিবরণী সদর সহকারী সেটেলমেণ্ট অফিসারের নিকট অবিলম্বে প্রেরণ করিতে হইবে।
             (২) যদি অবিলিকৃত টাক। প্রাপকের নিকট মানিঅর্ডার যোগে পাঠাইতে হয় তবে পেমেন্ট এর সহিত মানিঅর্ডার ফরম ও পূরণ করিয়া পাঠাইতে হইবে ।
মিতব্যয়িতাঃ

সার্কেল অফিসার নিয়ের বিষয়গুলির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখিবেন :-

            (১) তাহার নিজের অফিসের এবং হলক। ক্যাম্পের আনুষংগিক খরচ যেন সর্বনিম্ন হয়।
            (২) ও, সি, সি, বিলের ভাউচারগুলি তারিখের ক্রমানুযায়ী যেন সাজান হয়।
            (৩) যে মাসে টাকা ব্যয় করা হইয়াছে তাহার পরবর্তী মাসে যেন উহার বিল তৈরী করা হয়।
            (৪) 'সেটেলমেন্ট অফিসারের পূর্ব মঞ্জরী ব্যতিরেকে যেন স্থানীয়ভাবে কোন

মাঠ কাজের কর্মসূচী (সার্ভে এণ্ড সেটেলমেন্ট ম্যানুয়েলের ধারা-৩২৩) :-
            সার্কেল অফিসার যতশীঘ্র সম্ভব তাহার অফিস বিন্যাসের পর বিভিন্ন ছলকায় যাইয়া হলকা অফিসারগণের সহিত মিলিত হইয়৷ স্থানীয় অবস্থ। বিবেচনা পূর্বক প্রত্যেকটি
এরিয়ার কর্মসূচী প্রণয়ন করিবেন।
            তিনি দেখিবেন অপেক্ষাকৃত শুষ্ক এলাকায় প্রথমে কাজ আরম্ভ করা হয়।বিল এবং অন্যান্য নীচু এলাকায় জমি শুষ্ক হইবার সংগে সংগে কাজ আরম্ভ করিয়া
পুনরায় পানিতে ডুবিয়৷ যাইবার পূর্বেই মাঠ জরিপের কাজ সমাধান করিতে হইবে।

ট্রাভার্স রিকুইজিশন :
  (ক) হলকা অফিসার তাহার কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত কোন মৌজায় ট্রাভার্স প্রয়োজন আছে কিন৷ সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হইবার জন্য ব্যাপক তদন্ত করিয়া দেখিবেন।
  (খ) নিম্নলিখিত অবস্থায় ট্রাভার্স প্রয়োজন হইবে :-
       (১) যেখানে অধিক সংখ্যক এ্যাডাপটেড স্টেশন পাওয়। যাইতেছে না
       (২) যেখানে ১০০০০ একরের বেশী বিস্তৃত এলাকার পরিবৃদ্ধি ঘটিয়াছে এবং তাহা “সাইট ভেন” দ্বারা সিটে আবদ্ধ করা যায় না।
       (৩) যেখানে কোন খাস বা নদী দ্বারা কিছু এলাকা বিভক্ত হইয়া আলাদা হইয়া গিয়াছে এবং সেইখানে এমন কোন স্থায়ী বা ফিকড ষ্টেশন নাই যাহা এ্যাডিপি-
টেড ষ্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা চলে। দেরীতে ট্রাভার্স রিকুইজিশন দাখিল করা হইলে সার্কেল অফিসারকে দীর্ঘ সময় ট্রাভার্সের জন্য অপেক্ষা করিতে হইতে পারে । ফলে সার্কেলের কাজ অনেক পিছনে পড়িয়া যাইতে পারে।
       (8) হলকা অফিসারগণকে যথাশীঘ্র সম্ভব তদন্ত কাৰ্য্য সমাপ্ত করিয়া নির্ধারিত ফরমে সার্কেল অফিসারের নিকট তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করিতে হইবে।
       (৫) সার্কেল অফিসার স্বয়ং হলকা অফিসারগণের দাখিলকৃত রিপোর্টগুলি পরীক্ষা করিবেন ও প্রয়োজনবোধে উহা তিনি সরেজমিনেও দেখিবেন এবং সবগুলি একত্রিত করিয়া নিম্নলিখিত নির্ধারিত ফরমে অবশ্যই কারিগরী উপদেষ্টার নিকট প্রেরণ করিবেন। 

         

       (৬) সার্কেল অফিসারের নিকট হইতে ট্রাভার্স রিকুইজিশন প্রাপ্ত হইয়া কারিগরী উপদেষ্ট। যথা নিয়মে ট্রাভার্সরিকুইজিশন রিপোর্ট তৈরী করত: তাহা ভূমি রেকর্ড
ও জরিপ অধিদপ্তরে পাঠাইবার জন্য সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট পেশ করিখেন ।

পরিদর্শনঃ-
পরিদর্শেনের সময় ক্যাডাষ্টাল সার্কেল অফিসারকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি পরীক্ষা করিতে হইবে :-"
            (১) হলক। অফিসারগণ কিস্তোয়ার আমিনের টেবিল প্রতি দুই দিন অন্তর এবং ঊঝারত আমিনের টেবিল একদিন অন্তর পরিদর্শন করিতেছেন কিনা।
            (২) সিটে পরতাল সঠিকভাবে বিন্যাস করা হইয়াছে কিনা।
            (৩)মোরব্বা লাইনগুলি সঠিকভাবে লওয়। এবং অংকন করা হইয়াছে কিনা।
            (৪) বুঝারতের পূর্বে বাউণ্ডারী এবং সিট মারজিন সঠিকভাবে মিল কর হইয়াছে কিনা।
            (৫) হলক। অফিসারগণ ইয়াদদন্তে (স্মরণিকা) প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদাণ করিতেছেন কিনা। নির্দেশগুলি সঠিক ও সুদ্ধ হইয়াছে কিনা এবং সংশ্লিষ্ট আমিন
তাহ পালন করিতেছেন কিনা।
            (৬) আমিনগণ আর, এস, খতিয়ানের সহিত সংগতি রাখিয়৷ খতিয়ান ধুলিতেছেন কিনা এবং নির্দেশ মোতাবেক সর্বশেষ জরিপ ( ঢাকায় আর, এস, ) এর দাগের   বর্তিয়ানের নম্বর বর্তমান খতিয়ানে নীল কালিতে নোট করিতেছেন কিনা।

             (৭) কাজের অগ্রগতির সাথে বুঝারতের সমুদয় ফরমগুলি একই সংগে মাঠেই পুরন করা হইয়াছে কিন।।
             (৮) সমস্ত বিবাদগুলি রেজিষ্ট্রারে তোলা হইয়াছে কিন। এবং হলক। অফিসারগণ কর্তৃক তাহা নিষ্পত্তি করা হইয়াছে কিনা।
             (৯) আমিনের দৈনিক কাজের পরিমাণ ষ্ট্যাণ্ডার্ড মোতাবেক হইতেছে কিনা এবং আমিন খতিয়ান খুলিয়৷ তাহার সমুদয় কাজ সম্পন্ন করিতেছেন কিন৷
            (১০) আমিনের যন্ত্রপাতি ত্রুটিমুক্ত কিনা।
            (১১) সরদার আমিনগণের প্রতি প্রদত্ত নির্দেশগুলি তাহারা পড়িয়াছেন কিনা এবং উক্ত নির্দেশগুলি যথাযথ প্রতিপালিত হইতেছে কিনা।

সদর অফিসে প্রেরিত প্রতিবেদন সমুহ :-
নিম্নেবর্ণিত প্রতিবেদনগুলি উহাদের পার্শ্বে লিখিত তারিখের মধ্যে সার্কেল অফিসার সদরে প্রেরণ করিবেন।
                (১) ট্রাভার্স ইনকোয়ারী রিপোর্ট। — ১৫ই জানুয়ারী।
                (২) জমির শ্রেণী পরিবর্তনের প্রস্তাব - ১৫ই জানুয়ারী।
               (৩) ইংরেজী ও বাংলায় মৌজার তালিকা।
               (৪) একত্রিতকরণ ও বিভক্তিকরণ প্রস্তাব - ৩১শে জানুয়ারী।
               (৫) মৌজমিলি একত্রিতকরণ ও বিভক্তকরণের সুপারিশ - ২৮ শে ফেব্রুয়ারী।
               (৬) ত্রি-সীমানার পিলারের জন্য রিকুইজিশন - ৩১শে জানুয়ারী ।
               (৭) ক্যাম্পের কাজ সমাপ্তির পর কানুনগোগণের গোপনীয় রিপোর্ট - ১৫-ই জুন।
               (৮)সার্কেল নোট ক্যাম্পের কাজ সমাপ্তির পর।
               (৯)হলকা অফিসার বৃন্দের অধীনস্থ কর্মচারীদের গোপনীয় রিপোর্ট - ১৫ই জুন 
               (১০) হলকা ওয়ারী মৌজমিলি।
মৌজমিলি : ৪``=1 মাইর স্কেলের সার্কেল মৌজমিলি ।
সার্কেল অফিসার ট্রেংসি কাপড়ে ৪`` = ১ মাইল স্কেলে চার্জ অফিসারের নিকট২টি মৌজমিলি প্রেরণ করিবেন। প্রথমটিতে নিম্নলিখিত বিবরণগুলি দেখাইতে হইবে :-
                (১) সঠিক থান৷ বাউণ্ডারী।
                (২) মহানগরী বাউণ্ডারী ।
                (৩) নামসহ নদী এবং খাল সমূহ ।
                (8) ষ্টেশনসহ রেলপথ।
                (৫) বাঁধ ।

                (৬) সড়ক সমূহ ।
                 (৭) নামসহ ঐতিহাসিক স্থান সমূহ।

নোট ফর অর্ডার :
যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে স্বচ্ছন্দে নোট ফর অর্ডার দাখিল করা যাইবে।ইহা কোন অফিসারের কোন বিষয়ের সমাধানে অপারগতা দেখা দিলেই পেশ করা
যায় । কিন্তু নোট ফর অর্ডারের বিষয়বস্তু সুনির্দিষ্ট হইতে হইবে এবং তাহ। পরিছন্ন ভাবে উপস্থাপন করিতে হইবে। উহাতে কি কি বিষয় জড়িত এবং ঘটনাবলী
পরীক্ষান্তে কি কি পাওয়া গেল তাহার উল্লেখ প্রয়োজন। বিষয়টি আইনসঙ্গত হওয়ার পূর্ব শর্ত, সংশ্লিষ্ট অফিসারকে ঐ বিষয়ে তাহায় মতে কি আদেশ দেওয়া যায় তাহার সঠিক প্রস্তাব প্রদান করিতে হইবে। নোট সংক্ষিপ্ত হইবে কিন্তু বিষয় বস্তু পরিস্কার এবং সুসংগতভারে তুলিয়া ধরিতে হইবে। "নোট ফর অর্ডার পেশ করিবার পূর্বে সকল অফিসারই তাহাদের মুদ্ধিমত্তা, অভিজ্ঞতা,আইন ও নিয়ম সংক্রান্ত জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে তাহাদের দক্ষতার পরিচয়  যথেষ্ট সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সংশ্টি অফিসার বিষয়টির সমাধানে অপারগ হওয়ায় সাহায্য প্রত্যাশা করিতেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাহাই মনে করেন। নোট ফর অর্ডার পেশকারী অফিসারের মতের সহিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতের গরমিলের জন্য ভীত হইবার কোন কারণ নাই। অধ:স্তন অফিসারের নিকট হইতে প্রাপ্ত নোট ফর অর্ডার সার্কেল অফিসার বা চার্জ অফিসার শুধু পোষ্ট অফিস হিসাবে কাজ করিয়া উহার সমাধান দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন তাহা উচিত হইবে না বরং উক্ত বিষয়ের উপর তাহাদের সুচিন্তিত মতামত পেশ করিতে হইবে। নোট ফর অর্ডার সংশ্লিষ্ট চার্জ অফিসারের নিকট দাখিল করিতে হইবে। তিনি তাহার সুপারিশসহ উহা সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট পেশ করিবেন। অতঃপর সিদ্ধান্ত শেষে তাহ। সংশ্লিষ্ট অধ:স্তন অফিসারের নিকট ফেরত পাঠান হইবে। গুরুত্বপূর্ণ নোট ফর অর্ডারগুলি ছাপান ফরমে অথবা পূর্ণ এক খণ্ড সাদা কাগজের ডাইনে অর্ধাংশ খালি রাখিয়৷ পুরণ করিতে হইবে। বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী হুইলে বা পরবর্তী সময়ে আলোচনায় আসিতে পারে এমন হইলে অফিসে চালু নোট সিটও ব্যবহার করা যাইবে। কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বা অনুরূপ জিজ্ঞাসা থাকিলে সাদা কাগজের অর্ধাংশ ব্যবহার করিতে হইবে।

গণসংযোগ সভা :
মাঠ মৌসুমে ভূমি জরিপের কাজ চলাকালে জনগণকে জরিপের কার্য পদ্ধতি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য যথারীতি জরিপ কার্যক্রম সম্বন্ধীয় বিজ্ঞপ্তি/ইস্তেহার
জারী করণ ছাড়াও তদারকী কর্মকর্তাগণ সর্বস্তরের জনগণের সহিত জরিপ সম্বন্দে আলাপ আলোচনা করিবেন। রেকর্ড প্রণয়নের পদ্ধতি বিধি ও প্রক্রিয়৷ সম্বন্ধে জনগণকে অবহতি করাই গণসংযোগের মল লক্ষ্য। ক্যাডাষ্ট্রাল সার্কেল অফিসার: ( সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ) সংশ্লিষ্ট থানা সদর বা সার্কেল সদরে ও অন্য সকল সুবিধাজনক স্থানে এই ধরণের আলোচনা সভা করিবেন । হলক। অফিসার (কানুনগো ) তাহাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে/ওয়ার্ডে ও সকল মৌজায় এই ধরণের সভা করিবেন। সকল সভায় সার্কেল অফিসারাও উপস্থিত থাকিবেন এবং সর্বস্তরের জনগণের সহিত আলোচনা করিবেন। ইহাতে ভূমি মালিকগণ সুষ্টু রেকর্ড প্রণয়নে তাহাদের করণীয় সম্পর্কে অবগত হইবেন। ইহাতে জনগণের মধ্যে জরিপের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধেও একটি ইতিবাচক ধারণ৷ গড়িয়া উঠিবে।

নিম্নেলিখিত হক এর মাধ্যমে গণসংযোগ সংক্রান্ত সভার মাসিক বিবরণী সদরে পাঠাইতে হইবে :-

       

 

                                                                                                                                  দ্বিতীয় অধ্যায় 
                                                                                                                           ( হলকা অফিসারের জন্য )

হলকা অফিসারর কর্তব্য :
     হলকা। অফিসারের প্রধান এবং প্রাথমিক দায়িত্ব হইল সময়মত মাঠের কাজ সমাধা করা, কাজের গুণাগুণ উন্নততর করা ও সঠিক দক্ষতার সহিত কার্য পরিচালনা
করা। সুতরাং তাহার বহুবিধ কর্তব্যের বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নে প্রদত্ত হইল :-
     (২) হলকা অফিসার তাহার নিয়োগ আদেশ প্রাপ্ত হইয়। উক্ত আদেশে বর্ণিত তারিখের মধ্যে সার্কেল অফিসারের নিকট তাহার যোগদান পত্র পেশ করতঃ তাহার
হলকা ক্যাম্প চালাইবার উপযোগী যাবতীয় জিনিসপত্র সার্কেল অফিস হইতে গ্রহণ করিবেন।
সাধারণত নিম্নলিখিত জিনিসগুলি একটি হলকা চালাইবার জন্য প্রয়োজন হইয়া থাকে
(ক) ফিতাসহ সার্ভে যন্ত্রপাতি ।
(খ) আসবাব পত্র ।
(গ) ফরম।
(ঘ) মনোহারী দ্রব্যাদী।
(ঙ) হলক। মৌজমিলি ।
(চ) ল্যাণ্ড এ্যাকুইজিশন প্ল্যান এবং সংশ্লিষ্ট জমির তালিকা ।
(ছ) সি, এল, রেকর্ডের অনুলিপি।
(জ) এস, এ, রেকর্ডের অনুলিপি।

(ঞ) বিগত জরিপের পুরু এবং পাতলা নকসা সমূহ এবং যদি পি-৭০ গিট থাকে তবে উহা।
(ট) আইন পুস্তক সমূহ এবং সাধারণ নিৰ্দে শ সমূহ ।
(ঠ) কাচারী বাড়ী, সায়রাত মহলসহ অন্যান্য খাসজমির তালিকা ।
(ড) হলকা ক্যাম্পের কর্মসূচীর অর্ন্তভুক্ত ঐ মৌজাসমূহের তালিকা।
(ঢ) কর্মচারীবৃন্দের তালিকা ।
(ণ) সার্ভে এ্যাক্ট ১৮৭৫ অনুযায়ী সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ইস্তাহার ‘এ’ এবং ‘বি’ ।"

 

(২) হলকা অফিসার তাহার যাবতীয় জিনিসপত্র সহ যোগদানের তারিখে হলকায় পৌছাইয়াই তিনি সার্কেল অফিসারের নিকট তাহার যোগদানপত্র পাঠাইবেন। অতঃপর তিনি তাহার হলকার এলাকা ঘুরিয়া শুষ্ক মৌজাগুলিতে আগে এবং পরে শুরু হইবে এমন মৌজাগুলিতে পরে জরিপ কাজ আরম্ভ করা যায় এমনভাবে একটি যথোপযুক্ত কর্মসূচী প্রণয়ন করিবেন। কর্মসূচীতে কাজ আরম্ভ এবং সমাপ্তির সম্ভাব্য তারিখের উল্লেখ থাকিতে হইবে। নিম্নলিখিত নমুনা মোতাবেক কর্মসূচী প্রণয়ন করা যাইতে পারে ।
 

         

 

তিন কপি কর্মসূচী প্রণয়ন করতঃ একটি অফিস কপি রাখিয়া অবশিষ্ট দুই কপি সার্কেল অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন। সার্কেল অফিসার কর্মসূচীর একটি কপি
রাখিয়া তাহার মন্তব্যসহ অপর কপিটি চার্জ অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন। চার্জ অফিযারের কর্মসূচী সঠিকভাবে প্রণয়ন করা হইয়াছে কিন৷ তাহা পরীক্ষা করিয়া
দেখিবেন এবং মাঠের কাজ ত্বরান্বিত করিবার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনবোধে উহা সংশোধন করিবেন। চার্জ অফিসারের নিকট প্রেরিত কপির সহিত একটি মৌজমিলি দিতে হইবে।

(৩)আমিন এবং অন্যান্য কর্মচারীদিগকে কাজের জন্য মাঠে পাঠাইবার পূর্বে হলকা অফিসার ষ্টাফ রেজিষ্ট্রারে রে তাহাদের নাম ও বাড়ীর বিস্তারিত ঠিকানা লিখিয়া লইবেন এবং সম্ভাব্য সময়সীমার মধ্যে কোন কর্মচারী যোগদান না করিলে তাহা সার্কেল অফিসারকে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাইবেন। সার্কেল অফিসার উহা চার্জ অফিসারের মাধ্যমে সেটেলমেন্ট অফিসারকে অবহিত করিবেন।
(8) হলকায় যোগদানের তারিখ হইতে হলকা অফিসার একজন আদালী পিয়ন মোতায়েন করিতে পারিবেন। সুতরাং তিনি হলকায় যোগদানের তারিখেই তাহার
আদালী পিয়ন এর প্রস্তাব সার্কেল অফিসারের মাধ্যমে প্রেরণ করিবেন যাহাতে যথাসময়ে সদর অফিস হইতে উক্ত আদালী পিয়নের নিয়োগ পত্র প্রদান করা যাইতে
পারে। আদালী পিয়নের নিয়োগ প্রস্তাবে নিম্নলিখিত বিষয়াবলীর উল্লেখ থাকিবে।"

(ক) নাম
(খ) পিতার নাম
(গ) বয়স ।
(ঘ) শিক্ষাগত যোগ্যতা ।
(ঙ) স্থায়ী ঠিকানা ।
(চ) বর্তমান ঠিকানা ।
(ছ) নাগরিকতা।

(৫) হলকা অফিসার তাহার প্রাপ্ত দ্রব্যাদির জন্য প্রাপ্তিস্বীকার পত্র প্রদান করিবেন। ক্যাম্পের কাজ সমাপ্তির পর তিনি উক্ত দ্রব্যাদি সার্কেল অফিসারের
নিকট ফেরত দিবেন। এই কারণে হলক। অফিসারের প্রতিটি জিনিসের জন্য নির্ধারিত করনে মওজুদ রেজিষ্টার রাখিবার প্রয়োজন হয় না ।

(৬) কোন জিনিস হারাইয়া ফেলিলে বা নষ্ট করিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সদর অফিগ হইতে সার্কেল ক্যাম্প বা হলকা ক্যাম্পে সরবরাহকৃত অনুমোদিত মূল্য তালিকা
মোতাবেক উপ্ত জিনিসের মূল্য প্রদান করিতে হইবে। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কাৰ্য্য হইতে অব্যাহতি দিবার যথেষ্ট পূর্বে নষ্ট করা বা খোয়া যাওয়া জিনিসের মূল্য হলকা
অফিসার অবশ্যই রশিদ দিয়া আদায় করিবেন এবং আদায়কৃত টাকা একটি পৃথক প্রতিবেদনসহ সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট জমা দিবেন ।
সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার তাহা ট্রেজারীতে জমা দিবার ব্যবস্থা করিবেন। মাঠের কাজ চলিতে থাকা অবস্থায় কোন হলকা অফিসারে বদলী হইলে বদলীকৃত অফিসার তাহার হাতের মওজদসহ ষ্টক রেজিষ্টার তাহার উত্তরাধিকারীর নিকট হস্থান্তর করিবেন ও উক্ত হস্তান্তরের বিষয়ে সার্কেল অফিসারকে অবহিত করিবেন। যাহাতে কোন ফরমের অপচয় না হয় এবং যন্ত্রপাতি যত্নের সহিত ব্যবহার করা হয় সেইদিকেতাহাদিগকে নজর রাখিতে হইবে।

(৭) মৌসুমী আমিন ও হলকার কর্মরত আদালী পিয়ন এর বেতন বিল হ'লকা অফিসার প্রস্তুত কবিয়া সার্কেল ক্যাম্পে প্রেরণ করিবেন।

রেজিষ্টার সমূহঃ

       

 

 

      
১০ ১১১২১৩

ষ্টাফ রেজিষ্টার :

     

 

     
১০

 

নক্শা ও রেকর্ড রেজিষ্টার :

ইহা দুই খণ্ডে রাখিতে হইবে। প্রথম খণ্ডে সাবেক নক্সা ও রেকর্ড পত্র যাহা হলকা অফিসারগণের নিকট হস্তান্তর করা হয় তাহার হিসাব এবং দ্বিতীয় খণ্ডে বর্তমান রেকর্ড এবং নকসার হিসাব রাখিতে হইবে। এই রেজিষ্টারগুলি নিম্নের নমুন। মোতাবেক তৈরী করিতে হইবে :-

     

 

    

ত্রি-সীমানার পিলার :
(ক) তদন্ত :
হলক। অফিবার নিম্নের বিষয়গুলি সম্পর্কে জানিবার নিমিত্তে ত্রি-সীমানার মার্কগুলি চেক ও পরীক্ষা করিবেন :-
(১) পূর্ববর্তী জরিপে সেখানে কোন পিলার ছিল কিনা।
(২) পুর্ববর্তী জরিপের পাথর স্বস্থানে আছে নাকি উহ। খোয়া গিয়াছে ।
(৩) পূর্ববর্তী জরিপের পাথরটি ঠিক ত্রি-সীমানায় আছে কি না
নিম্নেবর্ণিত সকল ত্রি-সীমানায়ই পাথর বসাইতে হইবে :-
(১) যে সমস্ত ত্রি-বীমানায় পূর্বে পাথর বসানো ছিল না অর্থাৎ সকল নূতন
(২) যে সমস্ত স্থানে ত্রি-দীমানার পাথর খোয়া গিয়াছে ৷
(৩) যেখানে পূর্ববর্তী জরিপের ত্রি-সীমানার পাথরটি প্রকৃত ত্রি-সীমানায় নাই এবং সঠিক ব্রি-সীমানায় পাথরটি বসানোও সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে সার্ভে এণ্ড সেটেলমেন্ট ম্যানুয়েলের ৯৬ এবং ৯৭ পৃষ্ঠার ৩৭৪ এবং ৩৭৭ নং নিয়ম পড়িয়। সতর্কতার সহিত উহা অনুসরণ করতঃ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।
(খ) ৪" ইঞ্চি=১ মাইল স্কেলের একটি মৌজমিলিতে ত্রি-সীমানার স্থানগুলি চিহ্নিত করিয়া তাহার কোথায় কোথায় পিলার বসাইতে হইবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হইয়া হলকা অফিসারের নিকট অবশ্যই রিকুইজিশন দাখিল করিবেন ।
(গ) ত্রি-সীমানার পিলার স্থাপন : (সার্ভে এণ্ড সেটেলমেন্ট ম্যানুয়েলের ধারা ৩৭৪ ও ৩৭৭ ) ত্রি-সীমানার পাথর সঠিক ত্রি-সীমানায় বসাইতে হইবে। যেখানে উক্ত পাথর সঠিক ত্রি-সীমানায় বসান স্বাভাবিক আয়ত্বের বাহিরে চলিয়া যায় সেখানে ইহা ত্রি-সীমানা হইতে এক চেইনের ভিতর যতদূর সম্ভব কাছাকাছি স্থানে বসাইতে হইবে এবং নকসায়ও উহা সঠিক স্থানে যথাযথ আলামতসহ অংকন করিয়া দেখাইতে হইবে। খানাপুরি ও বুঝারত এক সঙ্গে করার সময় অথবা বুঝারত করার সময় আমিন তাহার চেইনম্যানের সহায়তায় পাথর স্থাপনের কার্য সমাধা করিবেন। উক্ত কাৰ্য্য সংশ্লিষ্ট দাগের ও তাহার পার্শ্ববর্তী দাগের মালিকগণ ও উক্ত এলাকার মেম্বার/ওয়ার্ড কমিশনারের সম্মুখে সম্পাদন
করতঃ আমিন তাহাদের দস্তখত গ্রহণ করিবেন ।
(ঘ) প্রতিটি মৌজার জন্য নির্ধারিত ফরমে মার্ক রেজিষ্টার তৈরী করতঃ তাহাতে সংশ্লিষ্ট কলামে উক্ত এলাকার মেম্বার/ওয়ার্ড কমিশনারের স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে হইবে। বিগত জরিপ অথবা বর্তমান জরিপে বসান পাথরগুলি আলামত সহকারে নকশায় সঠিক স্থানে দেখাইতে হইবে এবং নিম্নলিখিত বিষয়গুলিসহ তাহা মর্কি রেজিষ্টারে নোট করিতে হইবে :-
(১) স্থাপিত পাথরটি নুতন না পুরাতন ।
(২) ইহা প্রকৃত ত্রি-সীমানায় বসান কিনা। যদি প্রকৃত ত্রি-সীমানায় স্থাপন কর৷ না হইয়া থাকে তাহা হইলে প্রকৃত ও সঠিক ত্রি-সীমানা হইতে কোন দিকে কতদুরে স্থাপন করা হইয়াছে তাহা দেখাইতে হইবে। হলকা অফিসারের নিবিড় ভাবে করা তদারকিতে কাজটি সম্পন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়। কাজটি নির্ভল ও ত্রুটিমুক্ত ভালে হইয়াছে। এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র প্রদানপূর্বক হলকা অফিসারকে মার্ক রেজিষ্টারে স্বাক্ষর প্রদান করিতে হইবে। মৌজাওয়ারী মার্ক রেজিষ্টারটি অতঃপর সংশ্লিষ্ট মৌজার “বি” ফাইলে নথিভুক্ত করিতে হইরে। মৌজাওয়ারী মার্ক রেজিষ্টারের ভিত্তিতে সমুদয় হলকার জন্য একটি হলকাওয়ারী মার্ক রেজিষ্টার তৈরী করিতে হইবে এবং ৪” ইঞ্চি = ১ মাইল স্কেলের মৌজমিলিসহ
হলকার কাজ সম্পন্ন হইবার পর সার্কেল অফিসারের নিকট জমা দিতে হইবে।"
পরিদর্শনঃ

(১) হলকা অফিসার মাসে অন্তত: পক্ষে ২৫ দিন মাঠের কাজ পরিদর্শন করিবেন এবং প্রত্যেক কর্ম দিবসে কমপক্ষে ৩ জন আমিনের কাজ পরিদর্শন করিবেন
(২) হলক। অফিসার নজর রাখিবেন যেন আমিনগণ প্রত্যহ সকাল ৮ ঘটিকায়মাঠে যান এবং অপরাহ্ন ৪-৩০ মিনিট পর্যন্ত অবিরাম মাঠের কাজ চালাইয়া যান।
(৩) যখন হলকা অফিসার নিজে অথবা আমিন অসুস্থতার কারণে মাঠে যাইতে।অপারগ হন তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির দরখাস্ত সহ তার কারণ তাহার অসুস্থতার কারণ জ্ঞাত করাইবেন।
(৪) শুদ্ধ রেকর্ড প্রস্তুতির খাতিরে যে সকল মৌজার কিস্তোয়ার অথবা খানাপুরি কাম-বুঝারত কাজ চলিতেছে সেই সকল মৌজার মালিকগণ অথবা তাহার প্রতিনিধি যাহাতে মাঠে হাজির হইয়া তাহাদের নিজ নিজ জমির সীমানা প্রদর্শন পূর্বক জমির মালিকগণের নাম ও অংশ যথযথভাবে রেকর্ড করাইয়। লয় তজ্জন্য জনসাধারণকে উদবুদ্ধ করায় সব রকম প্রচেষ্টা চালাইতে হইবে।
(৫) ব্ল প্ৰিণ্ট সিটের ক্ষেত্রে থাকা হিসাবে ব্যবহারের নিমিত্ত আমিনকে প্রথমে পাতলা নীল অথবা কালো কালিতে ছাপা নকশা সরবরাহ করিতে হইবে। ভালভাব পরতাল দিয়া যদি সিটে কাজ করার উপযুক্ততার প্রমান পাওয়া যায় তবে পরবর্তী অন্যান্য কাজ করার জন্য আমিনকে ওয়ার্কিং সিট সরবরাহ করা যাইবে। আমিষের দৈনন্দিন কার্য্যের রোজনামচ। তাহার প্রকৃত কাজের পরিমাপের সাক্ষ্য বহন করে।
(৬) হলকা অফিসার তাহার পরিদর্শনের সময়ে ভূমি মালিকগণকে তাহাদের অসুবিধা অথবা অভিযোগ থাকিলে তাহা প্রকাশ করিতে উৎসাহ প্রদান করিবেন।
(৭) হলক। অফিসার কোন টেকনিক্যাল সমস্যার সম্মুখীন হইলে প্রথমে বিষয়টি টি, এ ও সার্কেল অফিসারের সহিত আলোচনা করিয়া সমাধানের চেষ্টা করিবেন। সম্ভব না হইলে তাহা নোট ফর অর্ডার ফরমে উর্ধ্বতন অফিগারকে অবহিত করিবেন।
(৮) নিখুঁত নকসা তৈরী করিবার জন্য হলকা অফিসারকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হইতে হইবে।
(ক) চেইন এবং অপটিক্যাল স্কোয়ার ত্রুটিমুক্ত কি না।"
(খ) আমিন কর্তৃক ব্যবহৃত নল সঠিক দৈর্ঘ্যের কি না অর্থাৎ ২০ লিংক মাপের কিনা।
(গ) এ্যাডোপটেড ষ্টেশনগুলি সঠিকভাবে মিল আছে কিনা।
(ঘ)সকল পাকা পিলার এবং অন্যান্য স্থায়ী নক্সায় অংকিত করা হইয়াছে কিনা
(ঙ)সিকিমি লাইনগুলি সঠিকভাবে নির্বাচন করা হইয়াছে কিনা। একটি স্থান সমূহ সঠিকভাবে সঠিক অবস্থানে ষ্ট্যাণ্ডার্ড চেইন লাইন সঠিকভাবে
(চ) বাঁধ, খাল, নদী, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ট্রাফিক আইল্যাণ্ড এবং রাস্তা সঠিকভাবে জরিপ হইয়াছে কিনা।
(ছ)প্রয়োজনীয় পরিমাণ পরতাল নকসার সুবিন্যস্তভাবে টানিয়া কিস্তোয়ারের সঠিকতা পরীক্ষা করা হইয়াছে কিনা।
(৯) নিখুঁতভাবে রেকর্ড তৈরী করার স্বার্থে এবং নির্ভুল রেকর্ড তৈরীর নিশ্চয়ত বিধানের জন্য হলকা অফিসার কমপক্ষে ১০% খানাপুরী-কাম-বুঝারত রেকর্ড পরীক্ষ। করতঃ পরীক্ষাকৃত খতিয়ানগুলিতে দস্তখত প্রদান করিবেন। পদ্ধতিগতভাবে হলকা অফিসার রেকর্ডের শুদ্ধতা যাঁচাইয়ের জন্য  ১০০% পরীক্ষা করিবেন।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি পরীক্ষা করিতে হইবে :-
(ক) খতিয়ান
(১) বিগত জরিপ অর্থাৎ আর, এস রেকর্ডের ভিত্তিতে হাল খতিয়ান খোল। হইয়াছে কিনা ।
(২) বিগত জরিপের খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত নাম বর্তমান খতিয়ানে পরিবর্তন কর। হইয়া থাকিলে তাহা হস্তান্তর এবং উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে করা হইয়াছে কিনা।
(৩) ২ নং কলমের অংশ ১০০০ মিল আছে কিনা ৷
(৪) খতিয়ান ফরমে নুতন খতিয়ান নম্বরের উপরে আমিন পেণ্সিলে সাবেক খতিয়ান নম্বর বসাইয়াছেন কিনা ।
(৫) নুতন দাগ নম্বরের পার্শ্বে খসড়া এবং খতিয়ানের দাগের কলামে সাবেক দাগ নম্বর নীল কালিতে নোট করিয়াছেন কিনা।
(৬) মাঠের বর্তমান অবস্থার নিখুঁত বিবরণী গ্রহণে সঠিকভাবে জমির শ্রেণী লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে কিন৷ ৷
(৭) অন্যান্য লিখিত বিষয় যথা দখল, সাধারণের ব্যবহার্য্য ইত্যাদি যেখানে যেইভাবে লিখা দরকার সেইখানে সেইভাবে নোট করা হইয়াছে কিনা।
(৮) এক খতিয়ান হইতে অন্য খতিয়ানে দাগভুক্ত করা হইলে উভর খতিয়ানে ব্রীতিসিদ্ধ প্রয়োজনীয় নোট রাখা হইয়াছে কিনা ।
(৯) খতিয়ানের ১ নং কলামে মালিক বা মালিকগণের নামের নীচে সরদার আমিন তারিখসহ দস্তখত প্রদান করিয়াছেন কিনা।
(১০) খতিয়ানের দাগগুলির এরিয়া নির্ভুলভাবে রেকর্ড করা হইয়াছে কিরা।
(১১) আমিন খতিয়ানের ময়সামিল মিল করিতেছে কিনা।
(১২) খতিয়ানের দাগের মবলগবন্দী করা হইয়াছে কিনা। এতদ্দ্ব্যতীত হলকা অফিসারকে প্রকৃত ম্যাপ এবং এরিয়া নির্ধারণসহ কমপক্ষে ২৫%
দাগ বদর পরীক্ষা করিতে হইবৈ।
(খ) খসড়া
খতিয়ান খুলিবার সংগে সংগে খসড়ার কলমগুলিও সঠিকভাবে পূরণ কর। মাঠে কর্মরত কর্মচারীগণের অপরিহার্য কর্তব্য। হলকা অফিসারগণ তাহাদের পরিদর্শনেরসময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন :-
(১) খতিয়ানের ৫ নং কলামের দাগের শ্রেণী লেখা হইয়াছে কিনা
(২) হাল দাগের পার্শ্বে নীল কালিতে পুরাতন দাগ লেখা হইয়াছে কিনা।
(৩) প্রতিটি হাল দাগের বরাবরে সংশ্লিষ্ট হাল খতিয়ানের নম্বর লেখা হইয়াছে কিনা৷
(৪) একটি দাগ বিভিন্ন খতিয়ানে রেকর্ড হইয়া থাকিলে প্রতি খতিয়ানের দাগের অংশ এবং এরিয়া খসড়ার সঠিকভাবে নোট হইয়াছে কিনা।
(৫) দাগের এরিয়া খসড়া এবং খতিয়ানে মিল আছে কিনা।
(৬) খাড়ার প্রান্তদেশে প্রত্যেক দাগের পার্শ্বে বদর আমিন তাহার দস্তখত প্রদান করিতেছেন কিনা এবং প্রতিদিনের কাজ শেষে খসড়ায় শেষ দাগের নীচে সরদার আমিন তাহার দস্তখত প্রদান করিতেছেন কিনা।
(৭) যে সমস্ত দাগ এবং খতিয়ানের কাজ অসমাপ্ত রাখিতে হইয়াছে তাহা অসমাপ্ত রাখিবার কারণ ইয়াদদস্তে ( সারণিকা ) নোট করা হইয়াছে কিনা।
(৮) যে সকল আদেশ এবং নির্দেশ পূর্ববর্তী পরিদর্শনে ইয়াদদস্তে নোট করা হইয়াছিল আমিন তাহা মানিয়া চলিতেছেন কিনা এবং সঠিকভাবে তাহা পালন করা হইতেছে কিনা।
(৯) বিবাদগুলি দাখিল হইবার সংগে সংগে বিবাদ ফরম পূরণ করিয়া শুনানীর নিমিত্ত পেশ করা হইতেছে কিনা এবং কোন বিবাদকে লুকাইয়া রাখিবার অপচেষ্টা চলিতেছে কিনা ।"
(১০) বিশেষ স্থান সমূহের দাগ নম্বর সাধারণের ব্যবহার্য্য জমির তালিকা এবং গো-মহিষাদির ফদ সঠিকভাবে লিখিয়া রাখা হইতেছে কিনা।
(১১) হুকুম দখলকৃত জরিপ প্লান এবং বিভাগীয় নক্‌স৷ ইত্যাদি থাকিলে তাহা রিলে করিয়া দেখান হইয়াছে কিনা বা প্রয়োজনীয় সংশোধনী করা হইয়াছে কিনা।
(১২) ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ( জেলা প্রকাশন ) কর্তৃক সরবরাহকৃত খাস জমি অসিত অর্পিত ও পরিত্যাক্ত এবং অন্যান্য সরকারী বিভাগের জমি সমূহ, স্থানীয় এবং স্বায়ত্ব শাসিত সংস্থার জমি সমূহ সঠিকভাবে রেকর্ড হইতেছে কিনা।

সরকারী খাস জমির রেকর্ড ( টেকনিক্যাল রুনদের ৩য় অধ্যায়ের ১১ নং বিধি ) সরকারী খাস জমি রেকর্ড করিবার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হইতে হইবে। যাহাতে খাস জমি সঠিকভাবে রেকর্ড করা যায় তাহার জন্য খাস জমির রেজিষ্ট্রার,
নিলাম খরিদকৃত জমির রেজিষ্ট্রার, সায়রতমহল রেজিষ্ট্রায় এবং সি এ, রোল বি-খণ্ড মোতাবেক খাস জমির তালিকার উপর ভিত্তি করিয়া নৌজাওয়ারী খাস জমির তালিকা সরবরাহ করিবার জন্য খানাপুরী-কাম-বুঝারত কাজ আরম্ভ করিবার পূর্বেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)-কে সদর অফিস হইতে অনুরোধ জানাইতে হইবে। চলমান জরিপের অর্ন্তভুক্ত এলাকায় অবস্থিত অন্যান্য বিভাগ, স্বায়ত্ব শাসিত সংস্থা ও স্বামীর সংস্থার জমি রেকর্ড করিবার ব্যাপারেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।

 

শেয়ার করুন:

মন্তব্যসমূহ (0)

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রথম মন্তব্যকারী হোন!